প্রিয় ছাত্রছাত্রী,
যারা তোমরা এখন ক্লাস টেনে পড়ো সামনেই তোমাদের প্রথম ইউনিট টেস্ট পরীক্ষা, আজকের প্রতিবেদন তোমাদের জন্যই, এই প্রতিবেদন পুরোটি পড়লে তোমরা তোমাদের জীববিজ্ঞান বিষয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে ।
1. কোনো গাছের পাতার কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা 14, তার পরাগরেণু, ডিম্বাণু ও শস্য নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোম সংখ্যা নির্ণয় করো।
Ans. - পাতার কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা (2n) = 14
পরাগরেণু (n) এবং ডিম্বাণু (n)-এর ক্রোমোজোম সংখ্যা = 7
শস্য নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোম সংখ্যা (3n) = (3×7) = 21
2. মিয়োসিস কোশ বিভাজনের ফলে কিভাবে প্রজাতির সংখ্যা ধ্রুবক থাকে, জনুক্রম ঘটাতে সাহায্য করে?
Ans. - প্রত্যেক প্রজাতিতে নির্দিষ্ট সংখ্যার ক্রোমোজোমের উপস্থিতি তার প্রধান বৈশিষ্ট্য। যেমন- বিড়ালের ক্রোমোজোম সংখ্যা 19 জোড়া, অ্যাসকারিসের ক্রোমোজোম সংখ্যা 1 জোড়া, মানুষের ক্রোমোজোম সংখ্যা 23 জোড়া। প্রত্যেকটি প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক। মিয়োসিস কোশবিভাজন শুধুমাত্র জনন মাতৃকোশে হয়। জনন মাতৃকোশ থেকে উৎপন্ন গ্যামেট অর্ধেক ক্রোমোজোম সংখ্যাবিশিষ্ট হয়। জননের সময় যখন হ্যাপ্লয়েড (n) ক্রোমোজোম বিশিষ্ট গ্যামেট একই প্রজাতির অন্য একটি জীবের হ্যাপ্লয়েড (n) ক্রোমোজোম বিশিষ্ট গ্যামেটের সঙ্গে মিলিত হবে, তখন উৎপন্ন অপত্য জীবটি ডিপ্লয়েড (2n) ক্রোমোজোম বিশিষ্ট হবে। সুতরাং, এইভাবে মিয়োসিস কোশ বিভাজনের ফলে প্রজাতিতে ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক থাকে।
3. মিয়োসিস কোশ বিভাজনকে হ্রাসবিভাজন বলে কেন ?
Ans: এই প্রকার কোশ বিভাজনে মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম পর পর দুইবার বিভাজিত হয় এবং মাতৃকোশের অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমোজোমযুক্ত চারটি অপত্য কোশ উৎপন্ন করে । তাই মিয়োসিসকে হ্রাসবিভাজন বলে ।
4. ক্রোমোজোমের সংজ্ঞা দাও ।
Ans: ক্রোমোজোমের সংজ্ঞা : ইউক্যারিওটিক কোশের নিউক্লিয় জালক থেকে সৃষ্ট , নিউক্লিয় প্রোটিন দ্বারা গঠিত , স্বপ্রজননশীল যে সূত্রাকার অংশ জিন বহন করে ও বংশগত বৈশিষ্ট্যাবলির বিস্তার ঘটায় এবং জীবের পরিব্যক্তি , প্রকরণ ও বিবর্তনে সাহায্য করে তাকে ক্রোমোজোম বলে ।
5. অ্যামাইটোসিস কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
Ans: যে পদ্ধতিতে মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম সরাসরি বিভাজিত ( নিউক্লিও পর্দা অবলুপ্তি ও বেমতত্ত্ব গঠন ছাড়া ) হয়ে দু’টি অপত্য কোশ উৎপন্ন করে তাকে অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজন বলে । উদাহরণ : ইস্ট , অ্যামিবা , ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদিতে দেখা যায় ।
6. অযৌন জননের একটি সুবিধা ও একটি অসুবিধা লেখো ।
Ans: সুবিধা — কম সময়ে বেশি জীব সৃষ্টি হয় ।
অসুবিধা – নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে না , পরিবেশের পরিবর্তন হলে অভিযোজনে সক্ষম হয় না ।
7. কোশচক্র কাকে বলে ? কোশচক্রের দশাগুলির নাম লেখো ।
Ans: কোশচক্র : একটি কোশের একবার বিভাজন শুরু থেকে পরবর্তী বিভাজন | শুরু পর্যন্ত যে ঘটনাগুলি ঘটে তার পর্যায়ক্রমিক আবর্তনকে কোশচক্র বলে । কোশচক্রের দশাগুলি হলো— G1 S , G2 , ও M দশা ।
8. একটি সপুষ্পক উদ্ভিদের পাতার কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা 18 হলে তার সস্যে ও জননকোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা কত হবে ?
Ans: পাতার কোশ ডিপ্লয়েড , 2n = 18 , সস্যের ক্রোমোজোম সংখ্যা 3n = 3×9 = 27 , জননকোশের ক্রোমোজোমের সংখ্যা n = 9
9. মাইটোসিস ও মিয়োসিসের দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো ।
Answer : (i) মাইটোসিস দেহ মাতৃকোশে ঘটে, মিয়োসিস জনন মাতৃকোশে ঘটে।(ii) মাইটোসিস কোশ বিভাজনে মাতৃকোশ ও অপত্য কোশের ক্রোমোজোম সংখ্যা একই থাকে। মিয়োসিস কোশবিভাজনে মাতৃকোশের ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায়।
10. কোশ বিভাজন কাকে বলে ? কোশ বিভাজনের তাৎপর্য কী ? 2+3=5
Answer : যে কোশটি বিভাজিত হয় তাকে মাতৃকোশ বা জনিতৃকোশ বলে। জনিতৃকোশ বিভাজিত হয়ে যে কোশ সৃষ্টি করে তাকে অপত্যকোশ বলে। জনিতৃকোশ যে পদ্ধতিতে অপত্যকোশ সৃষ্টি করে তাকে কোশ বিভাজন বলে।
কোশ বিভাজনের তাৎপর্যঃ কোশ বিভাজনের প্রধান তাৎপর্য হল –
(1) বৃদ্ধিঃ জীবদেহের বৃদ্ধির জন্য কোশ বিভাজন হয়। কোশ বিভাজিত হয়ে কোশের সংখ্যা বাড়ে, ফলে জীবদেহের বৃদ্ধি ঘটে।
(2) ক্ষয়পূরণঃ আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের মেরামতির জন্য কোশ বিভাজিত হয়।
(3) প্রজনন বা বংশবিস্তারঃ কোশ বিভাজনের দ্বারা এককোশী জীবদের বংশবিস্তার ঘটে। এ ছাড়া রেণু উৎপাদন ও গ্যামেট উৎপাদনের জন্য ও কোশ বিভাজিত হয়।
11. সেন্ট্রোমিয়ার কাকে বলে? সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুয়ায়ী ক্রোমোজোমের শ্রেণিবিভাগ করো। আলোচনা করো ।
Answer : সেন্ট্রোমিয়ার: ক্রোমোজোমের মুখ্য খাঁজ সংলগ্ন ঘন দানার মতো অংশকে সেন্ট্রোমিয়ার বলে। সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুযায়ী ক্রোমোজোম চার প্রকার ।
(i)মেটাসেন্ট্রিক: সেন্ট্রোমিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে ।
(ii)সাব-মেটাসেন্ট্রিক: সেন্ট্রোমিয়ার মধ্যবর্তী স্থানের কাছাকাছি অবস্থান করে।
(iii)অ্যাক্সোসেন্ট্রিক: সেন্ট্রোমিয়ার শেষপ্রান্তের কিছুটা ভিতরে অবস্থান করে।
(iv)টেলোসেন্ট্রিক: সেন্ট্রোমিয়ার ক্রোমোজোমের শেষ প্রান্তে অবস্থান করে।
12. মাইটোসিস কাকে বলে ? মাইটোসিস কোশ বিভাজনের প্রোফেজ ও মেটাফেজ দশার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।
Answer : মাইটোসিস : যে ধারাবাহিক পদ্ধতির সাহায্যে কোনো দেহ মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম একবার বিভাজিত হয়ে সমআকৃতি, সমগুণসম্পন্ন এবং সমান সংখ্যক ক্রোমোজোমযুক্ত দু’টি অপত্য কোশ সৃষ্টি করে তাকে মাইটোসিস বলে।
প্রোফেজ দশার বৈশিষ্ট্য : নিউক্লিয় জালিকা থেকে উৎপন্ন ক্রোমাটিন সূত্রগুলি জল ত্যাগ করে (জল বিয়োজন) স্পষ্ট হতে থাকে। ক্রোমাটিডগুলি কুণ্ডলীকৃত হয়ে ছোটো ও মোটা হয় এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজোম সৃষ্টি হয়। নিউক্লিওলাস ক্রমশ ছোটো হতে হতে এই দশার শেষের দিকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়।
মেটাফেজ দশার বৈশিষ্ট্য : নিউক্লীয় পর্দা ও নিউক্লিওলাস সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্ত হয়।ক্রোমোজোমগুলি বিষুব অঞ্চলে বা নিরক্ষীয় তলে অবস্থান করে। বেমতন্তু গঠিত হয়। অবিচ্ছিন্ন বেমতন্তু উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। ক্রোমোজোমীয় তন্ত উত্তর বা দক্ষিণ মেরু এবং ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
13. মাইটোসিস কোশ বিভাজনের অ্যানাফেজ ও টেলোফেজ দশার বৈশিষ্ট্য লেখো।
Answer : অ্যানাফেজ দশার বৈশিষ্ট্য : এটি ক্যারিওকাইনেসিস বা নিউক্লিয়াসের বিভাজনের তৃতীয় দশা। এই দশায় ক্রোমোজোমগুলি বিভক্ত হয়ে দুটি ক্রোমাটিড গঠন করে এবং নতুন সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপত্য ক্রোমোজোম গঠন করে। ক্রোমোজোমগুলির অর্ধেক উত্তর মেরু ও অর্ধেক দক্ষিণ মেরুর দিকে গমন করে। এটি বেমতন্তুর সংকোচনের ফলে সম্পন্ন হয়। এই দশায় ক্রোমোজোমগুলি ‘V’ (মেটাসেন্ট্রিক), ‘L’ (সাব-মেটাসেন্ট্রিক) , ‘J’ (অ্যাক্সোসেন্ট্রিক) ও ‘I’ টেলোসেন্ট্রিক) আকৃতির মতো দেখায়।
টেলোফেজ দশার বৈশিষ্ট্য : ক্রোমোজোমগুলি উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুতে পৌছায়। ক্রোমোজোমের কুণ্ডলী খুলে যায়, জলগ্রহণ করে এবং নিউক্লিয় জালক গঠন করে। নিউক্লিয় পর্দা ও নিউক্লিওলাসের আবির্ভাব হয়। এই দশার শেষে দু’টি অপত্য নিউক্লিয়াস গঠিত হয়।
নীচের বিবৃতিগুলি সত্য না মিথ্যা লেখো :
- মাইটোসিস কোশবিভাজন প্রথম পর্যবেক্ষণ করেন বিজ্ঞানী ওয়াল্টার ফ্লেমিং। [T]
- ক্রোমোজোম শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী ওয়ালডেয়ার। [T]
- হিস্টোন প্রোটিন চার প্রকার। [F]
- মানুষের একবার কোশ বিভাজনে সময় লাগে 14 ঘন্টা। [F]
- বিজ্ঞানী বোভারি বলেন ক্রোমোজোমই বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক। [T]
- একটি কোশচক্রের জন্য যে সময় লাগে তাকে জনুকাল বলে। [T]
- আমাদের দেহ কোশে অটোজোম সংখ্যা 44টি। [T]
- DNA হল একটি বৃহৎ জৈব অণুতে। [T]
- মানুষের শুক্রাণুতে অটোজোম সংখ্যা 23 টি। [F]
- DNA জীবজগতের সবচেয়ে স্থায়ী অণু। [T]
- m-RNA কোশে সবচেয়ে বেশি থাকে। [F]
- মিয়োসিস-II কে হেটেরোটাইপিক বিভাজন বলে। [T]
- কোশচক্রে তিনটি চেক পয়েন্ট থাকে। [T]
- কোশ বিভাজন দশার দীর্ঘস্থায়ী দশা হল টেলোফেজ। [F]
- মানুষের 21 ও 22 তম ক্রোমোজোম SAT ক্রোমোজোম। [T]
- ক্যানসার কোশের G০ দশা থাকে। [F]
- ইন্টারফেজের ক্ষণস্থায়ী দশা G1 দশা। [F]
- G2 দশায় কোশীয় অঙ্গাণুর সংখ্যা দ্বিগুন হয়। [T]
- অযৌন জননে দুটি জনিতৃ জীবের প্রয়োজন। [F]
- যৌন জননে গ্যামেট উৎপন্ন হয় না। [F]
- স্পাইরোগাইরা সূত্রাকার ছত্রাক। [F]
- সন্ধ্যামালতী ফুলে ইতর পরাগযোগ ঘটে। [F]
- জোড়কলম অযৌন জনন পদ্ধতি। [F]
- যৌন দ্বিরূপতা দেখা যায় আরশোলাতে। [T]
- যৌন, অযৌন ও অঙ্গজ এই তিন পদ্ধতিতেই জননে সক্ষম প্রাণী হল হাইড্রা। [T]
- পাখির সাহায্যে পরাগযোগ হয় যে ফুলে, তাকে সাইকোফিলি বলে। [F]
- উভলিঙ্গ ফুলের স্বপরাগযোগকে জেনোগ্যামি বলে। [F]
- নির্ণীত নিউক্লিয়াস ডিপ্লয়েড প্রকৃতির। [T]
- ওবেলিয়ায় সুস্পষ্ট জনুক্রম দেখা যায়। [T]
- আলু কাণ্ডজ মুকুলের সাহায্যে জনন সম্পন্ন করে। [T]
এক কথায় উত্তর দাও :
- কোন প্রক্রিয়ায় জনিতৃ কোশ থেকে অপত্য কোশ সৃষ্টি হয় ?
Answer : কোশ বিভাজন প্রক্রিয়ায় ।
- DNA-এর পুরো নাম কী ?
Answer : ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড ।
- ক্রোমোজোম কখন এবং কোথা থেকে সৃষ্টি হয় ?
Answer : কোশ বিভাজনের সময় নিউক্লিয় জালিকা থেকে ক্রোমোজোম সৃষ্টি হয় ।
- RNA কোথায় জিনরূপে কাজ করে ?
Answer : ভাইরাসে RNA জিন রূপে কাজ করে ।
- জিনের একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ।
Answer : জিন মুখ্যত DNA দিয়ে গঠিত ।
- 46 টি ক্রোমোজোমের মধ্যে অটোজোম ক-টি ?
Answer : 44 টি।
- স্ত্রীলোকদের সেক্স ক্রোমোজোম কীভাবে প্রকাশ করা হয় ?
Answer : স্ত্রীলোকদের সেক্স ক্রোমোজোমকে ‘XX’ রূপে প্রকাশ করা হয় ।
- মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম দেখতে কেমন ?
Answer : ‘V’ আকৃতির ।
- নিউক্লিওহিস্টোন কী ?
Answer : হিস্টোন DNA-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিউক্লিওহিস্টোন গঠন করে ।
- কোন অঙ্গাণু থেকে প্রাণীকোশ বিভাজনকালে – বেমতন্তু গঠিত হয় ?
Answer : সেন্ট্রাজোম থেকে ।
- ক্রোমোজোমের পৃথকীকরণ কোথায় ঘটে ?
Answer : মিয়োসিস কোশ বিভাজনে ।
- ভ্রূণের পরিস্ফুটনকালে কী ধরনের কোশবিভাজন দেখা যায় ?
Answer : মাইটোসিস কোশবিভাজন দেখা যায় ।
- কোন প্রক্রিয়ায় জীব বংশবিস্তার করে ?
Answer : জনন প্রক্রিয়ায়।
- একটি প্রাণীর উদাহরণ দাও যেখানে বিভাজন প্রক্রিয়ায় জনন সম্পন্ন হয়।
Answer : অ্যামিবা।
- কোরকের সাহায্যে অযৌন জনন সম্পন্ন হয় কোন প্রাণীতে ?
Answer : হাইড্রা।
- কোন উদ্ভিদে জনুক্রম দেখা যায় ?
Answer : ফার্ন
- স্টক কাকে বলে ?
Answer : মূলসহ যে গাছটিতে অন্য গাছের শাখা জোড়া লাগানো থাকে তাকে স্টক বলে।
- পুংকেশরের কোথায় পরাগরেণু সৃষ্টি হয় ?
Answer : পরাগধানীতে পরাগরেণু সৃষ্টি হয়।
- ডিম্বাণু কোথায় থাকে ?
Answer : ডিম্বকের মধ্যে ডিম্বাণু থাকে।
- কোন গাছে বাদুড়ের সাহায্যে পরাগযোগ ঘটে ?
Answer : কলা।
- একটি পতঙ্গপরাগী ফুলের উদাহরণ দাও।
Answer : আম।
- পিতৃ ও মাতৃ ক্রোমোজোমদ্বয়ের দেহাংশের বিনিময়কে কী বলে ?
Answer : পিতৃ ও মাতৃ ক্রোমোজোমদ্বয়ের দেহাংশের বিনিময়কে ক্রসিংওভার বলে।
- ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখা কোন কোশ বিভাজনের কাজ ?
Answer : ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখা মাইটোসিস কোশ বিভাজনের কাজ।
- অযৌন জননের একক কী ?
Answer : অযৌন জননের একক হল স্পোর বা রেণু।
- S দশায় কী সংশ্লেষণ ঘটে ?
Answer : S-দশায় DNA-র সংশ্লেষণ ঘটে।
- কোথায় RNA জিনরূপে কাজ করে ?
Answer : RNA-ভাইরাসে জিনরূপে কাজ করে।
- মানুষের কোন সময়কে মুখ্য বৃদ্ধিকাল বলে ?
Answer : বয়ঃসন্ধিকালকে।
- । কোন প্রকার কোশে কোশ বিভাজন দেখা যায় না? উত্তর- স্নায়ুকোশে কোশ বিভাজন দেখা যায় না।।
- কোন প্রকার কোশ বিভাজনে বেম বা স্পিন্ডিল গঠিত হয় না ?
Answer : অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজনে ।
- S-দশায় কী সংশ্লেষণ ঘটে ?
Answer : S-দশায় DNA-র সংশ্লেষণ ঘটে ।
- মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোমে সেন্ট্রোমিয়ার কোথায় থাকে ?
Answer : মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোমে সেন্ট্রোমিয়ার ক্রোমোজোমের মাঝখানে থাকে
- ক্রোমোজোমের পৃথকীকরণ কোথায় ঘটে ?
Answer : মিয়োসিস কোশ বিভাজনে ।
- কোন অঙ্গাণু থেকে প্রাণীকোশ বিভাজনকালে – বেমতন্তু গঠিত হয় ?
Answer : সেন্ট্রাজোম থেকে ।
- ক্রোমোজোমের আম্লিক প্রোটিনে কী কী অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে ?
Answer : ট্রিপটোফ্যান ও টাইরোসিন ।
- কাইনেটোকোর কোথায় থাকে ?
Answer : ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার অঞ্চলে।
- ক্রোমোমিয়ার কী ?
Answer : ক্রোমোজোমের পুঁতির দানার মতো অংশগুলিকে ক্রোমোমিয়ার বলে ।
- স্ত্রীলোকদের সেক্স ক্রোমোজোম কীভাবে প্রকাশ করা হয় ?
Answer : স্ত্রীলোকদের সেক্স ক্রোমোজোমকে ‘XX’ রূপে প্রকাশ করা হয় ।
- কোন প্রক্রিয়ায় জীব বংশবিস্তার করে ?
Answer : জনন প্রক্রিয়ায়।
- দুটি গ্যামেটের মিলনের ফলে উৎপন্ন কোশকে কী বলে ?
Answer : জাইগোট বা ভ্রূণাণু।
- কোন প্রানীতে জনুক্রম দেখা যায় ?
Answer : মনোসিসটিস।
- কোন গাছের পাতায় অস্থানিক মুকুল সৃষ্টি হয় ?
Answer : পাথরকুচি।
- স্টক কাকে বলে ?
Answer : মূলসহ যে গাছটিতে অন্য গাছের শাখা জোড়া লাগানো থাকে তাকে স্টক বলে।
- পুংকেশরের কোথায় পরাগরেণু সৃষ্টি হয় ?
Answer : পরাগধানীতে পরাগরেণু সৃষ্টি হয়।
44. কোন প্রকার কোশ বিভাজনে দেহকোশের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে?
উত্তর- মাইটোসিস কোশ বিভাজনে দেহকোশের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে।
45. অনিয়ন্ত্রিত কোশ বিভাজন ছাড়া কিভাবে কোশ বিভাজনে ক্যানসার সৃষ্টি হতে পারে?
উত্তর- কোনো ব্যক্তি দীর্ঘক্ষণ ধরে এক্স রশ্মি ও সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির বিকিরণের মধ্যে সময় কাটালে অনিয়ন্ত্রিত কোশ বিভাজন ছাড়াও ক্যানসার সৃষ্টি হতে পারে।
46. ক্যারিও কাইনেসিস কী
উত্তর- নিউক্লিয়াসের অপর নাম ক্যরিওন। তাই নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে ক্যারিওকাইনেসিস বলে।
47. কোশ বিভাজনের কোন্ দশায় ডিসজাংশন ঘটে?
উত্তর- মিয়োসিস 1 কোশ বিভাজনের প্রোফেজের ডিপ্লোটিন উপদশায় ডিসজাংশন ঘটে।
48. উদ্ভিদকোশে সাইটোকাইনেসিস কোন্ বিশেষ গঠন দ্বারা সংঘটিত হয়?
উত্তর- সাইটোকাইনেসিস অর্থাৎ সাইটোপ্লাজমের বিভাজন। উদ্ভিদ কোশে ফ্রাগমোপ্লাস্ট এবং কোশপাত গঠনের দ্বারা গঠন সাইটোকাইনেসিস সংঘটিত হয়।
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর :
- মানবদেহে ক্রোমোজোমের মোট সংখ্যা হল – a.44টি b. 2টি c. 46টি d. 10টি
Answer :[c] 46টি
- হ্যাপ্লয়েড ক্রোমোজোম (n) কোথায় দেখা যায় ? – a. দেহকোশ b. জননকোশ/গ্যামেট c. জাইগোট d. সস্য নিউক্লিয়াস
Answer :[b] জননকোশে/গ্যামেটে
- কোন প্রকার কোশ বিভাজনকে হ্রাস বিভাজন বলে ? – a. মাইটোসিস b. মিয়োসিস c. অ্যামাইটোসিস d. সাইটোকাইনেসিস
Answer :[b] মিয়োসিস
- কোন বিজ্ঞানী DNA-এর দ্বিতন্ত্রী নাম প্রণয়ন করেন? – a. ব্রিজেস b. মরগ্যান c. ব্রিজেস ও মরগ্যান d. ওয়াটসন ও ক্রিক
Answer :[d] ওয়াটসন ও ক্রিক
- উদ্ভিদের দেহে যে কোশটি মিয়োসিস পদ্ধতিতে বিভাজন করে তা হল – a.রেণু মাতৃকোশ b.অগ্রমুকুলের কোশ c.পরিণত পাতার কোশ d.মূলের কোশে
Answer :[a] রেণু মাতৃকোশ
- কোন ক্রোমাটিডে ক্রসিং ওভার হয় ? – a. সিস্টার ক্রোমাটিড b. নন সিস্টার ক্রোমাটিড c. উভয় ক্রোমাটিড d. এর কোনোটিই ঠিক নয়
Answer :[b] নন সিস্টার ক্রোমাটিড
- জনুক্রম দেখা যায় কোন জীবে ? – a. অ্যামিবা b. কেঁচো c. তাল গাছ d. ফার্ন গাছ
Answer :[d] ফার্ন গাছ
- দুটি ভিন্নধর্মী জনন কোশের মিলনে যে জনন সম্পন্ন হয় তাকে বলে – a. অঙ্গজ জনন b. অযৌন জনন c. যৌন জনন d. অপুংজনি
Answer :[c] যৌন জনন
- জোড় কলমে উদ্ভিদ শাখার কোন অংশ পর্যন্ত চেঁছে দেওয়া হয় ? – a. জাইলেম b. ফ্লোয়েম c. ক্যাম্বিয়াম d. মজ্জা
Answer :[c] ক্যাম্বিয়াম
- দেহের কোনো কাটা অংশ থেকে অপত্য জীব সৃষ্টি হলে তাকে বলে – a. রেণু উৎপাদন b. পুনরুৎপাদন c. দ্বিবিভাজন d. খণ্ডীভবন
Answer :[d] খণ্ডীভবন
- কোন্ উদ্ভিদে স্বপরাগযোগ লক্ষ করা যায় ? – a. পেঁপে b. লাউ c. শিম d. তাল
Answer :[c] শিম
- মানুষের বিকাশকে কটি দশায় ভাগ করা যায় ? – a. 4 টি b. 5 টি C. 6 টি d. 7 টি
Answer :[b] 5টি
No comments:
Post a Comment